প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যত দ্রুত সম্ভব তিস্তার সমাধান করতে তার সরকারের আন্তরিক আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আর তা বাস্তবায়ন হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও একটি রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে।”
চার দিনের ভারত সফরের শেষ দিন সোমবার সকালে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানিও উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডি-নিউজের।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমাদের যৌথ পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সব অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে অববাহিকাভিত্তিক একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের যৌথ ভবিষ্যত নিহিত।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার ‘রাজ্যের স্বার্থের’ কথা বলে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে অনড় থাকায় ছয় বছর ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরেও হয়নি।
তবে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য তিস্তা চুক্তি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তা স্বীকার করেছেন। শনিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, দুই দেশের বর্তমান সরকারের মেয়াদেই তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধানে পৌঁছনো যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব