রমজানে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা দিলেও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এ সময় সারা দেশে চাহিদা ছিল নয় হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এজন্য গতকাল রবিবার সারা দেশের বেশ কিছু জায়গায় লোডশেডিং ছিল।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামতের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েকটি মেরামতের পর চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেড়ামারার ২১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাকিগুলো আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে চালু হলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। রমজানের আগেই লোডশেডিং শূন্য পর্যায়ে চলে আসবে।
বর্তমানে বন্ধ আছে এরকম বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হল বিবিয়ানা ৩৪১ মেগাওয়াট, রংপুর ২০০ মেগাওয়াট, ভেড়ামারা ২১৪ মেগাওয়াট, বড়পুকুরিয়া ২১০ মেগাওয়াট, মেঘনাঘাট ৪২৫ মেগাওয়াট, সিরাজগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ৩৬০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সঞ্চালন লাইনের সংস্কার করা হচ্ছে। রমজানে ইফতার-তারাবি ও সেহেরির সময় লোডশেডিং থাকবে না। লোডশেডিং করতে হলে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় জানিয়ে দেয়া হবে।
তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, রমজানে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হলে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে। সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে সার কারখানাগুলোতে ২১ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। যা মোট উৎপাদিত গ্যাসের আট শতাংশের বেশি।
বিডি প্রতিদিন/২২ মে, ২০১৭/ফারজানা