জনসচেতনতার মাধ্যমেই চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এই চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
রাজধানী ঢাকায় চিকনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন। ধানমন্ডিতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সচেতনমূলক কার্যক্রম চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। খবর বাসসের।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এই মশার উৎপত্তি স্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতীকীভাবে শুরু করেছি। আমাদের এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা।
এ সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডি জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ঢাকা শহরের যতো সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ঢাকার ৯২টি পয়েন্টে তারা সচেতনতামূলক কাজ চালিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন,
সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই আজকের এই কার্যক্রম। কেবল ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নেয় এডিস মশা। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সাদা অ্যাপ্রোন পরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে।
এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ধানমন্ডি ২ নং সড়ক এবং আজিমপুর সরকারি কলোনীর ভিতরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুন, ২০১৭/মাহবুব