ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনে এবার এক কোটি সাত লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে, যা আগের নির্বাচনের সাড়ে তিনগুণ বেশি। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।খবর বিডিনিউজের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনে মোট ৪১টি খাতে এক কোটি সাত লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও স্ক্যানিং করে ফলাফল তৈরি খাতে সবচেয়ে বেশি ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভা খরচ বাবদ ৬ লাখ ৭২ হাজার, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ অবধি চিফ রিটার্নিংসহ অন্যান্য খাতে ৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১৮টি হলের ৩৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ভোট গ্রহণের দিন ২৬৬ কর্মকর্তার জন্য ব্যয় হয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ব্যালট বক্স কেনা ও মেরামত বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া, উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরের সভা ও আপ্যায়নে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। নির্বাচনের সিসি ক্যামেরা ভাড়া বাবদ ও হার্ডডিস্ক কিনতে প্রায় ৫ লাখ ২ হাজার টাকা ব্যয় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার ডিজাইন, সরবরাহ, স্ক্যানিং বাবদ ১২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভা খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছিল ২ লাখ টাকা। আর উপাচার্য ও প্রক্টর অফিসের সভায় প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছিল।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, “এখানে যে ব্যয়ের হিসাবটা দেওয়া হয়েছে, সেখানে অনেক খাত অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই ব্যয় কত টাকা হয়েছে, এ বিষয়ে এখন আমি মন্তব্য করব না। এ বিষয়ে আমাকে দেখতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাঁচ বছরে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সেই হিসেবে এবার নির্বাচন আয়োজন করতে পাঁচ বছরের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের প্রায় ৯২.৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন