ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার ২০৬ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি ৭৭ হাজার ৯৬৯। বর্তমানে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা হতে সর্বোচ্চ দুই টাকা কলরেট নির্ধারণ করা আছে। প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের কলরেট কমানো যেতে পারে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
তারানা হালিম আরো জানান, মোবাইলে ফোনের কলরেটের সর্বনিম্ন অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। পাশ্ববর্তী দেশসমূহের তুলনায় এটি যথেষ্ট কম।
ন্যাপের আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণের নিকট ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দু’টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি হচ্ছে ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড।মোবাইল কোম্পানিগুলো রাজস্ব দিয়েছে ৮৫৫ কোটি টাকা।
সরকারী দলের সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে ডাক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, গত অর্থ বছরে (২০১৫-২০১৬) পহেলা জুলাই থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোবাইল ফোন কোস্পানিগুলো মোট ৮৫৫ কোটি এক লাখ রাজস্ব দিয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীনফোন দিয়েছে সর্বোচ্চ ৪৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার রাজস্ব। এছাড়া রবি আজিয়াটা লিমিটেড রাজস্ব দিয়েছে ২২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড রাজস্ব দিয়েছে ১৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড রাজস্ব দিয়েছে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড রাজস্ব দিয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৭/আরাফাত/ফারজানা