ভ্রমণ সব সময়ই আনন্দের। বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ ও পরিদর্শনের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে পর্যটনশিল্প। সেই দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। চলতি বছরের এ দেশগুলোতে বেড়েছে পর্যটকদের সংখ্যা।
ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এক নজরে দেশগুলোর অবস্থান দেখা নেওয়া যাক-
ভিয়েতনাম
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ বিদেশি পর্যটক। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভিসানীতি শিথিল করা এবং ডিজিটাল প্রচারণায় জোর দেওয়ার ফলে ভিয়েতনাম এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত বেড়ে ওঠা পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি।
থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কম। সীমান্ত উত্তেজনা এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি এই অবস্থার অন্যতম কারণ। তবু ব্যাংকক, পাতায়া ও ফুকেট এখনো পর্যটকে ভরপুর। দেশটিতে বেশি সময় অবস্থান করে দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটকেরা। এর পরেই অবস্থান জাপান ও মালয়েশিয়ার পর্যটকদের।
মালয়েশিয়া
চলতি বছরের মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। এভাবে থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে মালয়েশিয়া এখন আসিয়ানের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশ। চীনা পর্যটক বৃদ্ধি, ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করা ও প্রচারণা দেশটির এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। পর্যটকদের গড় ব্যয় বেড়েছে, যা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এছাড়া নতুন নতুন পর্যটন এলাকা গড়ে তুলতে কাজ করছে তারা।
ফিলিপাইন
এ বছরের জুন পর্যন্ত ফিলিপাইনে পর্যটক গিয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ। যদিও এই সংখ্যা গত বছরের মতোই। তবু পর্যটন খাতে দেশটির আয় বেড়েছে এবং মহামারির আগের সময়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে। দেশটিতে বেশি ভ্রমণে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পর্যটকেরা।
সিঙ্গাপুর
এ বছর ৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন বিদেশি সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। তারপরও দেশটি ব্যবসা ও প্রিমিয়াম ট্রাভেল হাব হিসেবে জনপ্রিয়।
ইন্দোনেশিয়ার
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়নের বেশি বিদেশি পর্যটক। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এর মধ্যে শুধু বালি ভ্রমণ করেছিল ৪ মিলিয়নের বেশি পর্যটক।
কম্বোডিয়া ও লাওস
কম্বোডিয়ায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভ্রমণ করেছে প্রায় ৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে লাওস ভ্রমণ করেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৫ লাখ পর্যটক। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। দেশটি এ বছর ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন পর্যটক এবং এক বিলিয়ন ডলার রাজস্বের লক্ষ্য স্পর্শ করতে চলেছে।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মিয়ানমার। তবে বেশ কিছু দেশ পর্যটকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহনশীল নীতি অনুসরণ করায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: গালফ নিউজ
বিডি প্রতিদিন/কামাল