২০২৫ সালে বিশ্বের পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছেন পশ্চিম ইউরোপের দেশ ইতালিকে। বিশ্বখ্যাত ভ্রমণ সাময়িকী কনডে নাস্ট ট্রাভেলারের এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে। সাময়িকীটি তার পাঠকদের ভোটের মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ক পুরস্কার প্রদানে অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বের নানাদেশ ভ্রমণপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে। তারা সংস্কৃতি, খাবার, প্রাকৃতিক দৃশ্যপট ও ঐতিহ্যবাহী অভিজ্ঞতা দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। প্রকাশিত তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। তবে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ওসেনিয়া অঞ্চলের দেশও গুরুত্বপূর্ণভাবে উঠে এসেছে।
তালিকার শীর্ষে ইতালির অবস্থানের কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশটিকে বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, খাবার ও পরিবেশ। সেগুলো হলো--
১. সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী সম্পদ:
ইতালিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ পুরনো স্থাপত্য, রোমান ও ইটালীয় রেনেসাঁস শিল্পকলা, খ্রিস্টিয় ঐতিহ্য। দেশজুড়ে থাকা এর শহরগুলোর রয়েছে বৈচিত্রপূর্ণ সৌন্দর্য। উদাহরণস্বরূপ, রোমের কলোসিয়াম, ভেনিসের নৌ‑চ্যানেল, ফ্লোরেন্সের রেনেসাঁস শিল্প। এসব কারণে পর্যটকরা অনেক ইতিহাস ও সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
২. খাবার:
ইতালীয় খাবার যেমন পিৎজা, পাস্তা, জেল্লো, ওয়াইনের মতো খাবারগুলো ইতালির ভ্রমণ‑অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নানান স্বাদের খাবার উপভোগ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতি, খাবার, প্রাকৃতিক দৃশ্যপট এবং মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হলো ইতালির আকর্ষণ।
৩. প্রকৃতি ও ভৌগোলিক বৈচিত্র্য:
ইতালিতে শুধু বড় শহর নয়, রয়েছে পাহাড়, লেক, উপকূলীয় অঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল। যেমন- আমালফি উপকূল, লেক কমো ইত্যাদি। প্রকৃতি সংক্রান্ত কার্যক্রম ও ঘুরে বেড়ানো সবাইকে কাছে টানে।
৪. আন্তর্জাতিক যোগাযোগ:
২০২৫ সালে ইতালিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসছে। ইতালির ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি ঝামেলাপূর্ণ না হওয়ায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
৫. অফ‑সিজন ভ্রমণ:
ইতালি শুধু গ্রীষ্মে নয়, শরৎ ও শীতকালেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আকর্ষণীয় ও সুযোগ-সুবিধা থাকায় অফসিজনে সাধারণত কম মানুষ থাকলেও সেটার পরিমাণও অনেক।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড
বিডিপ্রতিদিন/এমই