নাগরিক জীবনে কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই প্রিয়জনকে সময় দিতে পারেন না। অনেকক্ষেত্রে সময় ও দূরত্বের কারণে তেমন কোথাও যাওয়া হয় না। এ নিয়ে হয়তো সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাজারো অভিযোগ রয়েছে। তবে রাজধানীর আশেপাশে এমন অনেক ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান আছে। যারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অথবা একদিনেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে চান তারা চাইলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
জেনে নিন তেমনই ৫ স্থানের হদিস
আড়াইহাজার মেঘনার চর
ঢাকার কাছে আড়াইহাজার চর এলাকা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। যান্ত্রিক নগরীর আশেপাশে এ রকম মনোরম পরিবেশ আর কোথাও পাবেন না। খাওয়া-দাওয়া এবং ট্রলারের খরচ মিলিয়ে মোটামুটি তিন-চারজনের জন্য ৭০০-১০০০ টাকা খরচ হতে পারে। যাওয়ার জন্য প্রথমে গুলিস্থান থেকে যেতে হবে মদনপুর। সেখান থেকে আড়াইহাজার যাবেন।
মায়া দ্বীপ
নারায়ণগঞ্জের বারদী ইউনিয়নের মায়া দ্বীপ হতে পারে বিশেষ দিনের বিকাল কাটানোর দারুণ এক স্থান। মায়া দ্বীপ হলো মেঘনা নদীর বুকে ভেসে ওঠা একটি দারুণ সুন্দর চরের নাম। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী বারদী ইউনিয়নের অর্ন্তগত নুনেরটেক গ্রামেই মায়া দ্বীপের অবস্থান। এ গ্রামটি মূল ভূখণ্প থেকে বিচ্ছিন্ন।
জিন্দা পার্ক
নারায়ণগঞ্জের পর্যটকদের কাছে আরেকটি পছন্দের স্থান জিন্দা পার্ক। জেলার দাউদপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে পার্কটি। এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ১০ হাজারের বেশি গাছ, পাঁচটি জলাধার ও অসংখ্য পাখি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যান্টিন,লাইব্রেরি, চিড়িয়াখানা, আটটি সুসজ্জিত নৌবহর। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে এ পার্ক। নির্ধারিত টিকিট মূল্য দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে হবে।
জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট
বিশাল একটি বিল, পুকুর আর বনজঙ্গল আছে এখানে। যে কেউ চাইলে একটা দিন এখানে কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। সারাদিনের জন্য জনপ্রতি ১৫০০ টাকা। এর মধ্যে সকালের নাশতাম দুপুরের খাবার এবং বিকেলের নাস্তা রয়েছে। এছাড়া পুরো দিন এবং এক রাতের জন্য একজনকে ৩০০০ টাকা দিতে হবে। এর সঙ্গে শিশু, কাজের লোক ও গাড়ির চালকদেও জন্য ৬০০ টাকা জনপ্রতি। দুপুরের খাবার হিসেবে ১০ থেকে ১২ রকম দেশি আইটেম রয়েছে।
খাবারের মধ্যে মোটা চালের ভাত, পোলাও, মুরগির ঝোল, ছোট মাছ আর টক দিয়ে কচুর মুখির ঝোল, দেশি রুই মাছ, ডাল, সবজি এবং কয়েক রকমের সুস্বাদু ভর্তা। এ রিসোর্টে যাওয়ার জন্য প্রথমে পুবাইল কলেজ গেট যেতে হবে। সেখান থেকে প্রায় ৩ মাইল গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন পাইলটবাড়ি বা জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট।
নরসিংদীর জমিদারবাড়ি
জমিদার বাড়ি ঘুরতে আসতে পছন্দ করেন না এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া কঠিন। পুরোনো স্থাপত্যে মোড়া জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাওয়াটা বেশ জৌলুসের! এ বাড়ির বাইরের দিকে দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। নিখুঁত সৌন্দর্যের এই ভবনগুলো শত বছর পরও ঐতিহ্যবাহী ও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকতের মুগ্ধ করে তোলে। উকিলবাড়ি নামে পরিচিত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা বাজার থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত লক্ষণ সাহার জমিদারবাড়ি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল