নির্বাচন কমিশনকে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাদের যেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত না করা হয়, এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছি।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আমরা আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করেছি জাতীয় স্বার্থে, কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে নয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই, দেশের মানুষ যেন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভোট দিতে পারেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের বিষয়ে কথা হয়েছে। সাংবাদিকরা যেন বিনা বাধায় কাজ করতে পারেন এবং সত্য তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেন।আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করতে অন্তত ১০ লাখ লোকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল সীমিত। তহলে এই দশ লাখ লোক কারা হবে? অতীতে আমরা দেখেছি, প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। এবার যেন এমন না হয়, সেটি আমরা জোর দিয়ে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরাও চাই, কমিশন এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করুক যাতে শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বিশ্ববাসীও বুঝতে পারে-বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
মঈন খান বলেন, বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাদের যেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত না করা হয়, এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছি। প্রশাসনের কেউ রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড হলে সেটা নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জোট রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোয়ালিশন একটি স্বীকৃত পন্থা। এবং এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই প্রক্রিয়া চালু আছে। তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে আমরা প্রাক-নির্বাচনী কোয়ালিশন করেছিলাম, এবং সেটা জামায়াতের সঙ্গে হয়েছিল। আপনারা জানেন, আমাদের মন্ত্রিসভায় জামায়াত থেকে দুজন সদস্য ছিলেন। কাজেই এটা এমন কোনো আশ্চর্য বিষয় নয়। নির্বাচনে প্রাক-নির্বাচনী সমঝোতা হয়, কোয়ালিশন হয় — আবার অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচন-পরবর্তী কোয়ালিশনও হয়ে থাকে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এখনো উন্মুক্ত রয়েছি। আমরা যথাসময়ে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুুল