জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাও এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াও। জলবায়ু উষ্ণতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। লবণাক্ততার কবল থেকে কৃষি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সুন্দরবনকে রক্ষা করো। ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর করে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলো।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় মোংলার কানাইনগর পশুর নদের পাড়ে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জলবায়ুর বিপর্যয়ের কবল থেকে কৃষি, পরিবেশ ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ধরা’র নেতা মোংলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র নেতা ইস্রাফিল বয়াতি, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার পরিবেশযোদ্ধা মেহেদী হাসান, পরিবেশ কর্মী জাহিদ হোসেন ব্যাপারী, ফারজানা বেগম, হেনা বেগম ও সিরাজ শিকদার।
নূর আলম শেখ বলেন, জলবায়ুর অভিঘাতে সুন্দরবন বিপর্যস্ত। লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলের ৬৪ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। নারীরা জরায়ু ক্যানসারসহ প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত। জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবাধিকার বিবেচনায় নিয়ে উন্নত বিশ্বকে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষি, ফসল ও মৎস্যসম্পদ জলবায়ুর অভিঘাতে আক্রান্ত। জলবায়ু উদ্বাস্তু উপকূলবাসীদের খাদ্য, পানি ও জমিতে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ইস্রাফিল বয়াতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীর খাদ্য ও প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয় কবল থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
মানববন্ধনে জেলে, বাওয়ালি, মাওয়ালিসহ বনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি