ইসরায়েলি পার্লামেন্ট দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের প্রস্তাবিত একটি বিলকে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। এই পদক্ষেপ কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তির সমতুল্য, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। বিতর্কিত এ বিল পাস হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো এই পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তেল আবিবের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশের ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
গত ২২ অক্টোবর জারি করা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মতামতকেও স্বাগত জানায় ঢাকা, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলোকে তুলে ধরে, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে রাখার ওপর যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা অন্তর্ভুক্ত।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমারেখার ভিত্তিতে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে যাবে ঢাকা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ