ঈদুল আযহার ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। ক্রমেই যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এছাড়া ঈদের আগে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটি হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। ফলে শেষ ধাপের চাপ বাড়বে বিকেল থেকেই। কিন্তু আজ শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
এই বৃষ্টিতে ছোট ছোট যানজট ও খানাখন্দে সৃষ্ট ঝাঁকুনি বেড়ে যেতে পাড়ে অনেক বেশি। যদিও এখন পর্যন্ত ছোট ছোট যানজট ও খানাখন্দে সৃষ্ট ঝাঁকুনি সয়ে মানুষের দুর্ভোগ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। তবে মহাসড়কে উভয়মুখী যানের যে চাপ রয়েছে তাতে বড় ধরনের যানজটের মুখোমুখি হতে পারে ঘরমুখো মানুষ।
ঈদ যাত্রা স্বস্তির করতে মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়াতে বড় যানজটের আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।
বুধবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটমুক্ত গাড়ি চলাচল করেছে। গার্মেন্ট ছুটি হওয়ায় গাড়ির চাপ বেড়েছে, তবে উল্লেখ করার মতো যানজট হয়নি। তবে আজ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে দেখা দিতে পারে বড় যানজট। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের যে সব খানাখন্দ সংস্কার করা হয়েছৈ এই বৃষ্টির কারণে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশী। আর এর ফলে দেখা দিতে পারে সড়কে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির হাসানপুর এলাকা থেকে গজারিয়ার মেঘনা সেতু পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোর ৪টা থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে ঢাকা থেকে কুমিল্লার পথে তেমন যানজট ছিলো না বললেই চলে। তবে আজ হয়তো বা এর ব্যতিক্রম হয়ে যেতে পারে এই বৃষ্টির কারণে।
বিডি প্রতিদিন/৩১ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম