ঈদ উদযাপনে ঘরে ফেরার শেষ পর্যায়ে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও দীর্ঘক্ষণ যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, গতকাল সকাল ৮ থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩০ হাজার ৯শত ৭৯টি যানবাহন যাতায়াত করেছে। যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
কয়েক দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ তেমন না থাকলেও আজ শুক্রবার রাত থেকে যানবাহন ব্যাপক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় মহাসড়কের চন্দ্রা, মির্জাপুর, ধেরুয়া রেল ক্রসিং, পাকুল্যা, এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ের কয়েকটি পয়েন্টে ক্রসিং থাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের সৃষ্টি হলেও তা ২০/২৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। চারলেনের রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় মহাসড়কটি অনেকটা প্রশস্ত হওয়ায় দুর পাল্লার গাড়িগুলো পাশকাটিয়ে চলে যেতে পারছে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক পথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। প্রতিদিন এই মহাসড়কে ২৩টি জেলার ১২-১৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপে যানবাহনের সেই সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের মির্জাপুর অঞ্চলের পরিদর্শক (টিআই) এশরাজুল হক জানান, মহাসড়কের গোড়াই, ধেরুয়া রেলক্রসিং, নাটিয়া পাড়া, পাকুল্যা, করটিয়া বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও এলেঙ্গা এলাকায় গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। রাস্তায় খানা খন্দ ও উত্তরবঙ্গগামী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়াই এ ধীরগতির কারন। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ