নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি দোতলা বাড়িতে বিকট শব্দে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে বোমার কোন আলামত পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোররাত তিনটার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বরাব কবরস্থান রোড এলাকার কুমিল্লা হাউস-২ নামের দোতলা বাড়িতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে দুজন।
অগ্নিদগ্ধ দুজন হলেন বাড়ির মালিক আবুল খায়েরের ছেলে ইব্রাহিম (২২) ও শ্যালক আয়নাল হক (২৬)। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ইব্রাহিমের শরীরের ৫০ শতাংশ এবং আয়নালের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। তবে বোমার আলামত না পেয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের পশ্চিম পাশের দেয়াল ধসে পাশের তাজুল ইসলামের টিনশেড বাড়ির চালের ওপর পড়ে। এ সময় ওই ভবনের অপর একটি বিভাজন দেয়ালও ধসে পড়ে। জানালার থাই গ্লাস ভেঙে ও কাচ উড়ে যায় এবং ফ্ল্যাটে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওই সময় থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান। ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বোমা ও বোমা বিস্ফোরণের কোনো আলামত পায়নি। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আবুল খায়ের, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শরীফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে এসপি মঈনুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করা হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ওই বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও বোমার কোনো আলামত পায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ