এমপিওভুক্তির দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন পালন করেছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না তারা। এমনকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী।
তিনি বলেন, 'জীবন গেলেও দাবি পূরণ ছাড়া এখান থেকে যাবেন না। ন্যায্য দাবিতে খোলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে আমরণ অনশন করে যাচ্ছি। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও সরকার আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের এখানে আসায় আমরা তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি। কিন্তু তার বক্তব্য সুস্পষ্ট না হওয়ায় অনশনরত শিক্ষকরা তার আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেলেই ঘরে ফিরবেন শিক্ষকরা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এক দশকেরও বেশি সময় থেকে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৭৫-৮০ হাজার। আমরণ অনশন চলাকালে ছয়দিনে ১১৪জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ১৬ জন শিক্ষক ভর্তি আছেন। এছাড়া সর্বশেষ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে এমপিওভুক্ত করে। “তহবিল সংকট” দেখিয়ে তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়া শিক্ষকরা তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু তারা মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকার তাদের দিকে সুদৃষ্টি দিচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/০৫ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম