কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের মতো এবার বাংলাদেশেও ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার নন্দন-২ প্রেক্ষাগৃহে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জানালেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রী জানান ‘আমরা আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যেই আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব করতে চলেছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলিতেই এই চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান করা হবে। তা দেখবেন বাংলাদেশের মানুষ’।
প্রধান অতিথির ভাষণে মন্ত্রী এদিন বলেন ‘সমাজের যারা শত্রু সেই শত্রুদের মোকাবিলা করতে রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনও জরুরি। আর সেই আন্দোলনটা জোরদার হয় চলচ্চিত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। সেদিকে তাকিয়েই কলকাতায় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র উৎসব এবং বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উৎবসের আয়োজন করছি। যে নিয়মে আমরা এখানে উৎসব করছি বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের ক্ষেত্রে ঠিক সেই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মনজুরুর রহমান, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, গার্গী রায় চৌধুরী, কলকাতা উপ-হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মোফাখখারুল ইকবাল প্রমুখ।
কলকাতায় শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী ৪ দিন। কলকাতার নন্দন-২, ৩ এবং নজরুল তীর্থ-৩ প্রেক্ষাগৃহে আগামী ৮ জানুয়ারী পর্যন্ত দেখানো হবে ওপার বাংলার গেরিলা, অনিল বাগচীর একদিন, বাপজানের বাইস্কোপ, টেলিভিশিন, শোভনের স্বাধীনতা সহ একাধিক সিনেমা।
চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি এদিন থেকে নন্দন গ্যালারি-৪ এবং নজরুল তীর্থ আর্ট গ্যালারিতে শুরু হল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, তা চলবে ৮ জানুয়ারী পর্যন্ত। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে তা চলবে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে এদিন ইনু বলেন ‘সে সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল ভারত। দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সে সময় যে কূটনৈতিক তৎপরতা নিয়েছিলেন, তা কখনোই অস্বীকার করার নেই। দুই দেশের বন্ধুত্ব রক্ত দিয়ে বাঁধা, রক্ত দিয়ে গাঁথা। তাই রাজনৈতিক উত্থান পতন যাই হোক না কেন দুই দেশের মানুষ মৈত্রী বন্দনে আবদ্ধ আছি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন