৪৭ বছরে পা রাখল জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই বছরেই বাংলাদেশ বিমানের বহরে যোগ হচ্ছে বিশ্বের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি শুরু হয় বিমানের যাত্রা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় গড়ে তোলেন জাতির স্বপ্নবাহন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরপর থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশি, আর বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের পরিবহনে বিমান সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও বিশ্বের আন্তর্জাতিক সংকটে, যুদ্ধাবস্থায়, বিপদগ্রস্থ বাংলাদেশি কর্মীদেরকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বিভিন্ন গন্তব্যস্থল থেকে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের মরদেহ বিনামূল্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে বয়ে এনে জাতীয় সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসাবে একউজ্জ্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ৪৬ বছর পূর্তির এই শুভলগ্নে বিমান এক নবযুগে প্রবেশ করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সংযোজনের মাধ্যমে। স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলজির ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে যাত্রীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফিট উচ্চতায় ভ্রমণকালীন সময়ে ওয়াইফাই সুবিধা, বিশ্বেও যেকোন প্রান্তে প্রিয়জনের সাথে ফোনে কথা বলতে পারবেন। একইসাথে থাকছে বিশ্বমানের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম (আইএফই)।
যেখানে যাত্রীদের জন্য থাকছে ক্লাসিক থেকে ব্লকবাস্টার মুভি, বিভিন্ন ঘরানার মিউজিক, ভিডিও গেমসসহ বিশ্বের খ্যাতনামা ৯টি টিভি চ্যানেলের রিয়াল টাইম লাইভ স্ট্রিমিং, অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা, ক্রেডিটকার্ড/ক্যাশ পেমেন্ট অন বোর্ড ডিউটি ফ্রি শপসহ বিনোদনের ব্যাপক আয়োজন।
শতকরা ২০ভাগ জ্বালানি সাশ্রয়ী এ বিমানে থাকছে ২৪টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসসহ সর্বমোট ২৭১টি আসন। তুলনামূলক বড় জানালা নির্জন ও শান্ত কেবিন, মুড লাইট ইত্যাদি কারণে এই উড়োজাহাজে ভ্রমণকারী যাত্রীরা পাবেন সতেজ ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২০১৮ সালে বিমান বহরে ০২টি নতুন বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন গন্তব্যে বিমান তার ডানা প্রসারিত করতে চায়। এছাড়া বিমান এ বছর চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নগরী গুয়াংজু, শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো এবং মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/০৬ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত