কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি অত্যন্ত সফলতার সাথে ভরণ পোষণ পর্যায় হতে বাণিজ্যিক পর্যায়ে রূপান্তরের দ্বারপ্রান্তে। বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির একটি নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। শস্য বিমা চালু হলে ফসল উৎপাদন কমে গিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। তাই শস্য বিমা চালুর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের ১৯তম অধিবেশনের বৈঠকে মো. আব্দুল মতিন (মৌলভীবাজার-২) এর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলহানির ক্ষেত্রে তার ফসল রক্ষার জন্য কৃষক যে উদ্যোগ গ্রহণ করে, বিমা ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে কৃষকের প্রদেয় প্রিমিয়ামের সাক্ল্যু কিংবা অংশবিশেষ সরকারের পক্ষ হতে প্রদান করা হলে এবং পরবর্তীতে কোনো কারণে বিমা সুবিধা সংকুচিত করা হলে, মাঠ পর্যায়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে ফসল উৎপাদন কমে গিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে
এম আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১)- এর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কম পরিমাণ কৃষি জমিতে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করাও কৃষির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ সময় তিনি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সংসদে তুলে ধরেন।
স্যুটেট বুটেট লোকরা তা-ই
ব্যাংকের ঋণ খেলাপীরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকে, কিন্তু গরীব কৃষকরা খেলাপী ঋণের কারণে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ ব্যাংকের টাকা চুরি করেও সুটেট বুটেট লোকেরা বহাল তবিয়ে আছে। কাজী ফিরোজ রশিদের এমন একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্যুটেট বুটেট লোকদের বিষয়ে উনি যে মন্তব্য (চোর) করেছেন তা অসংসদীয় বিধায়, আমি সে শব্দ মুখে উচ্চারণ করলাম না, তবে তারা তা-ই। তবে কৃষি ঋণের সুদ মওকুফের সুযোগ নেই। যে ঋণ খেলাপী সে যে-ই হোক, ঋণ খেলাপী হিসেবেই বিবেচিত হবে। তবে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী কৃষি ঋণ আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব