বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ৪ মাসের জামিন আদেশের কপিতে স্বাক্ষর করেছেন দুই সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের দুই বিচারপতি।
স্বাক্ষরের পরে মঙ্গলবার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট দফতর (সেকশন) থেকে নিম্ন আদালতে আদেশটি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জানান, স্বাক্ষরিত এই কপি এখন বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে। এরপরই বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আদালতে জামিননামা দাখিল করবেন খালেদার আইনজীবীরা। এ জামিননামা স্বাক্ষরের পরই তা যাবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে।
এর আগে, সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের জামিনের আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। সেই দিন থেকে এখনো কারাগারেই রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত সোমবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। পরদিন মঙ্গলবার বিকেল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আপিল (ক্রিমিনাল আপিল নং- ১৬৭৩/১৮) দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব