রাজধানীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, মইনুল হোসেনের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এসময় মইনুল হোসেনের জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লহ আবু।
জানা যায়, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তি করায় গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন। থানা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার পর কারাগারে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এরপর তিনি গত ১৮ অক্টোবর ইলেকট্রানিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, শুধু তিনি চরিত্রহীন বলছেন না, আরও অনেক মানুষ তাকে চরিত্রহীন বলছেন। সর্বশেষ তিনি ‘দি নিউ নেশন’ পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক রব মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে ওই সাংবাদিক সম্পর্কে একাধিকবার ‘বাজে মেয়ে’ বলে সম্বোধন করেছেন। তার ওই সমস্ত বক্তব্য দেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এবং পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই মানহানিকর চরিত্রহীন বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটেনি একজন নারী হিসেবে বাদিনীরও মানহানি ঘটেছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ।'
এর আগে, রংপুরে হওয়া একটি মানহানি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গত ২২ অক্টোবর গ্রেফতারের পর গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে তাকে রংপুরের কারাগারে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম