'আমার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। দুই মেয়েকে রেখে ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২০১৪ সালে। কিছুদিন পর তাদের মা-ও মারা যায়। তখন থেকেই দুই নাতনিকে নিয়ে আমি কষ্টে আছি।'— এভাবেই বলছিলেন ৮০ বছর বয়সী ওলিফা বেগম।
মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা বস্তিতে দুই নাতনিকে নিয়ে বসবাস তার। মানবেতর জীবনযাপন করা এই বৃদ্ধার কোনো আয়ের উৎস নেই। তবে নাতনি জাকিয়া ও খাদিজাকে পড়াশোনা করাতে চান তিনি।
বৃদ্ধা আরও বলেন, 'পাঁচ দিন ধইরা ঘরে চাউল নাই। খাওনও নাই। পাশের মানুষজনের কাছ থেকে ধার কইরা চলতেছি।'
ওলিফা বেগম বলেন, দশজন মানুষ একটু-আধটু সাহায্যে আমাদের সংসার চলে। কাজ-কাম পারি না। এক নাতনিকে স্কুল থেকে বিনাবেতনে পড়ায়, আরেকজন কলেজে পড়ে। আমি চাই, নাতনিরা পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হোক।
ওলিফা বেগমের এ অবস্থার কথা শুনে বসুন্ধরা শুভসংঘ মানিকগঞ্জ জেলা শাখা তার পাশে দাঁড়িয়েছে। রবিবার এক বস্তা চাল, মুরগির মাংস, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।
জেলা কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। তাদের ঘরে খাবার না থাকার কথা শুনে জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা করি। বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর নাইমুর ইসলাম প্লাবন, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম তুষার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান আশিক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তাহামিনা শিকদার, তাসনিম ইসলাম রোজাসহ অন্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/এমই