জামায়াতে ইসলামীর কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
রবিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় বাস্তহারা দলের উদ্যোগে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে বাস্তুহারাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্র করেন, যত রকমের আওয়ামী প্রেত্মাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে বাংলাদেশের নির্বাচনকে করতে চান... কিছুই হবে না। আপনাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। কারণ গত দুইদিন আগে যাকে আমরা সারা বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন দিয়ে সরকারে বসিয়ে রেখেছি… পৃথিবীর ইতিহাসে যিনি বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করে বাংলাদেশে এসেছেন সেই অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুস সাহেব বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।
জামায়াতে ইসলামীর অতীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, যারা ১০ বছর নিষ্ক্রিয় ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজেছেন আজকে তারা কয়েকটি দল মিলে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা যারা ছেড়া প্যান্ট পড়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছি সেদিনকার কথা মনে পড়লে আপনাদের অত্যাচার-অবিচার, পাকিস্তানি সৈন্যদের বাড়ি দেখিয়ে দেওয়া, অমুক ছেলে মুক্তিযুদ্ধে গেছে তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া এসব কাজের অংশীদার ছিলেন আপনারা। যখন বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হয় তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আপনারা আঁতাত করে ওই ফ্যাসিস্টের সঙ্গে বাংলাদেশে একবার নির্বাচনেও গিয়েছেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করছেন, একবার পিআর ছাড়া ইলেকশনে যাবো না, একবার গণভোট আলাদাভাবে না হলে ইলেকশন করবো না বলছেন। আসল কথা ইলেকশন করবেন। ইলেকশন না করে কই যাবেন? আন্দোলন করবেন কার বিরুদ্ধে? অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে, এই ইউনূস সরকার কে? ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ, মুগ্ধদের রক্তে অর্জিত সরকারেরে প্রধান এটা স্মরণ রাখতে রাখবেন।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী সরকার দেশে একটি কার্যকর সংসদ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফারুক।
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘‘রায় হয়েছে রায় কার্যকর করতেই হবে। যদি বন্দিবিনিময় চুক্তি রাখতে চান, বন্ধুত্ব রাখতে চান, যদি এদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চান, হাসিনার সাথে না অচিরেই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে বন্দি চুক্তির বিনিময়ে অনতিবিলম্বে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে।”
বাস্তহারা দলের সভাপতি শরীফ রাগিবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বাস্তহারা দলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত