মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদন সঙ্কট দেখিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা পর থেকেই পিয়াজ বিক্রি বন্ধ রয়েছে বন্দরের আড়ত গুলোতে। রপ্তানিকারকদের অজুহাত দেখিয়ে পিয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে আমদানিকারকরা।
এ বিষয়ে রবিবার ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেড (ডিজিএফটি)’এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ থেকে সমস্ত ধরনের (টাটকা ও হিমায়িত) পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পিয়াজের রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।’
এদিকে, পিয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বন্দর এলাকায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। আর নতুন করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
গত এক মাসে পিয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ রুপিতে। আর সেই কারণে পিয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতেই রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশীয় বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি’এর পক্ষ থেকে টন প্রতি ন্যূনতম মূল্য বেধে দেয়া হয় ৮৫০ মার্কিন ডলার।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে গত শেষ চার মাসে যত (টাটকা ও হিমায়িত) পরিমাণ পিয়াজ রপ্তানি হয়েছে-তার মূল্য ১৫৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ৪৯৬.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পিয়াজ রপ্তানি করে ভারত।
ভারতে পিয়াজের ফলন হয় মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক, কর্ণাটকের মাকলি এলাকায়। সেখান থেকেই গোটা ভারতের পিয়াজ আমদানি করা হয়। আবার নাসিকের পিয়াজ রপ্তানি হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতেও।
চলতি বছরে অতি বর্ষণের কারণে কার্যত বন্যায় ভাসছে নাসিক ও মাকলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। যার প্রভাব পড়েছে পিয়াজ চাষেও। ফলে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন