২০ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:২৬

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের জন্য স্কলারশিপ বৃদ্ধির অনুরোধ স্পিকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের জন্য স্কলারশিপ বৃদ্ধির অনুরোধ স্পিকারের

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।

সংসদ ভবনে আজ বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটর একটি প্রতিনিধি দল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই অনুরোধ জানান। 

সিনেটর লুইস সেপুলভেদা'র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনেটর জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, কেভিন এ পার্কার। এসময় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সিনেটরদের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছেন।

সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বলেন, বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক সিটিতে বড় অবদান রেখে চলেছেন। দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে তারা এ সফরে এসেছেন। এ সময় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তৈরি পোশাক ও খাদ্যপণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দারিদ্রের হার ২১শতাংশে নেমে এসেছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ১০০ ইকোনমিক জোন স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ২১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর