২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:০৪

ক্রিকেটারদের আচরণে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী

রফিকুল ইসলাম রনি

ক্রিকেটারদের আচরণে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই পারিশ্রমিকসহ ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট এবং ভারত সফরের জন্য ক্যাম্প বর্জনে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে। বিস্মিত হয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সন্তানতুল্য’ ক্রিকেটারদের এমন আচরণে  তিনি মর্মাহত, ব্যথিত। গতকাল রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকনির্দেশনা নিতে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে নিয়ে দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান আবদুর রহমান। এ সময় গণভবনে আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। আবদুর রহমান বলেন, ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ও ক্যাম্প বর্জনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্মাহত, ব্যথিত। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা সবাই আমার সন্তানতুল্য। আমি তাদের সন্তানের মতোই স্নেহ করি। কোনো দাবি আমার কাছে করতে হয় না। আমি তো সবই করি। খেলাধুলার জন্য আমার চেয়ে কে বেশি করেছে? তারপরও কেন আন্দোলন? বলা নেই, পূর্ব কোনো দাবি করা নেই হঠাৎ কেন ধর্মঘট! তাদের কোনো কথা থাকলে আমাকে বলতে পারত। এ মুহূর্তে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আবদুর রহমান বলেন, ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীকে বিমর্ষ দেখা যাচ্ছিল। 

উপজেলায় বিদ্রোহীদের ব্যাপারে নমনীয় শেখ হাসিনা : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিদ্রোহীদের ব্যাপারে নমনীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার যারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা করার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

তবে পরবর্তীতে যেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান না নেন, এ ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যারা মাফ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন, এবারের মতো নেত্রী (শেখ হাসিনা) তাদের সতর্ক করে মাফ করে দিতে বলেছেন।

পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই প্রায় ২০০ নেতা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেন। তাদের মদদদাতা হিসেবে প্রায় অর্ধশত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে। ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ ও তাদের মদদদাতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তবে বন্যা, ডেঙ্গু ও শোকাবহ আগস্টের কারণে এ কার্যক্রম পিছিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দলীয় পদধারী ১৭৭ নেতার নামে শোকজ চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ। ডাকযোগে পাঠানো চিঠির জবাবে ফিরতি চিঠিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর