মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জের-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামে ১৯৭৩ সালে জন্ম তার।
১৯৮৮ সালে প্রথম দফায় এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে দ্বিতীয় দফায় পাশ করেন রতন। পরে সিলেট পলিটেকনিকে পড়াশোনা করে হন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার।
জগন্নাথপুর উপজেলায় বিআরটিএ’র টেলিফোন বিভাগে কাজের মধ্যে দিয়ে শুরু করেন কর্মজবীন। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়ে যান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। এরপর আর থেমে থাকেননি। প্রতিবারই সংসদ সদস্য হন রতন।
গেল কয়েকবছরে স্থানীয়দের কাছে আলোচিত তার বিলাসবহুল বাড়ি, জমিসহ বিপুল সম্পদ। টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি।
এরই মধ্যে ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রতনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দুদকসূত্রে জানা গেছে। অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গঠিত দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দেশে মানি লন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিশ্বস্তসূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তিনি যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে বুধবার ক্যাসিনোকান্ডে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করার পর তফসিলভুক্ত অবৈধ সম্পদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম