১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:২২

আরও একধাপ বাড়ল পিয়াজের ঝাঁজ

অনলাইন প্রতিবেদক

আরও একধাপ বাড়ল পিয়াজের ঝাঁজ

পিয়াজের গায়ে আরও একবার ঝাঁজ লেগেছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। গতকাল সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ১৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পিয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ গত রবিবারেও আগেও সব ধরনের পিয়াজ কেজিতে ১০- ২০ টাকা কম ছিল। পিয়াজের দাম বাড়ার এই তথ্য তুলে ধরেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। 

এদিকে ঘূর্ণিঝর ‘বুলবুল’র প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুইদিন পিয়াজের খালাস ব্যাহত হওয়ায় আবারও দামের উপর চাপ পড়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরেও পাইকারি দাম ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। কিন্তু বিকেল তা এক লাফে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৩০ টাকায়। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। 

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গতকাল সোমবার দুপুরেও পাইকারি দাম ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। কিন্তু বিকেল তা এক লাফে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৩০ টাকায়। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। 

সোমবার বিকেলে নগরীর আশকারদিঘীর পাড় বাজারের এক সওদাগর জানান, সকালে দাম কম থাকলেও বিকেলে খাতুনগঞ্জ থেকে ফোন করে আড়ৎদার জানিয়েছেন পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমরাও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পিয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে মিয়ানমারের পিয়াজের দাম খুচরায় ১০০ থেকে ১১০ টাকায় নেমে এসেছিল। 

অন্যদিকে, মিসর ও চীন থেকে আমদানি হওয়া পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এই পিয়াজ কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় নেমে এসেছিল বলে জানান বিক্রেতারা। কেবল পিয়াজ নয়, আদার দামও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। বুলবুল সৃষ্টির আগে খুচরা বাজারে আদার কেজিপ্রতি দাম ছিল ১৫০ টাকা। গত শনিবার থেকে দাম বেড়ে গিয়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকায়।

এদিকে, খাতুনগঞ্জের আড়ৎদার রিতাপ উদ্দিন বাবু বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল না হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যেত। কিন্ত গত দুই-তিনদিন আমদানি করা পেঁয়াজও খালাস হয়নি বলে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে বন্দরে পেঁয়াজ খালাস শুরু হলে সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার টন পিয়াজ আমদানির অনুমতি নিলেও এর মধ্যে আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার টন পিয়াজ। আমদানির অপেক্ষায় আছে ৬১ হাজার টন। আমদানির জন্য এলসি খোলা হলেও এখনো পিয়াজের বড় চালান দেশে এসে আসেনি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে। ফলে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম খুচরায় ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার সব জাহাজ জেটি থেকে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরের পর থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো শুরু হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত ১০টি জাহাজ ভেড়ানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মোট দুদিন জাহাজ থেকে পিয়াজ খালাস ব্যাহত হয়েছে। তাই পিয়াজবাহী জাহাজের মালামাল খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর