ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে বাকি ১০ জনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এদের পরুষ ৫জন এবং ৫ জন নারী।
কুমিল্লায় ভর্তি আবদুস সোবহান দুই পা, বুক এবং মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন। তিনি একজন কৃষি শ্রমিক।
সোমবার রাতে সোবহান শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে উদয়ন এক্সপ্রেসে উঠেন। সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই আবদুস সালাম ও ভগ্নিপতি শফিক মিয়া। তারা কুমিল্লায় থেকে শ্রমিকের কাজ করেন। আহত সোবহান ও সালাম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গুনবি এলাকার বারিক মিয়ার ছেলে।
সোবহান বলেন, কুমিল্লার উদ্দেশে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে উদয়নের ‘ঞ’ বগিতে উঠি। মন্দবাগ রেলস্টেশনে আসলে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। যেন বোমা ফেটেছে। যাত্রীরা একজন অন্যজনের উপর পড়ে। আমি মাথা, বুক এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
দুই বগি পিছনে থাকা ভাই এবং ভগ্নিপতি আমাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। অন্য দুই আহত কাউছার (২৮) হবিগঞ্জের আবদুল জলিলের ছেলে।
জাহাঙ্গীর (৪০) চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার আবুল হাসেম মালের ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম