বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সমালোচনা করে বলেছেন, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন জগদল পাথরের মতে বসে আছেন। ওখানে দুর্বল লোকেরা পঁচা কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসছে, ফলে আমাদের বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি করেছিলাম। আজ পর্যন্ত কমিশন করা হয় নাই, একটা লোককেও শাস্তির আওতায় আনা হয় নাই। বাজার থেকে মূলধন ৯৫ হাজার কোটি টাকা নাই। শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। শেয়ার বাজার একেবারে শুয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ার বাজার ফিরে আসতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে করছিলেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশ চলে তিন নীতিতে, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দুর্নীতিতে। আমি শেয়ার মার্কেট নিয়ে বলব। সিকিউরিটি এক্সেচেঞ্জ কমিশন দুর্বল পঁচা কোম্পানিগুলো লিস্টিং করে বাজারে ছেড়ে দেয়। আমরা বলেছিলাম দুর্বল কোম্পানিগুলোকে যেন লিস্টিং না করে। অথচ দুর্বল কোম্পানি শেয়ার বাজারে লিস্টিং দেওয়া হচ্ছে যে কারণে এরকম ধস। শুধু লিস্টিং দেওয়াই তাদের কাজ, আর কোনো কাজ নেই। কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে নাই শেয়ার কিনতে বাধ্য করবে, এই টাকায় শেয়ার বিক্রি করতে হবে। শেয়ার মার্কেটে যারা ৩০ বছর যেত এখন তাদের পায়ে জুতা নেই। তারা বলছে আমাদের দেখার কি কেউ নেই।
ফিরোজ রশীদ বলেন, ইস্যু ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। প্রশান্ত হলদার নামে একটা লোক সে নন ব্যাংকিং কিছু প্রতিষ্ঠান করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ওনি দেশে নাই পালিয়ে গেছে। কার জবাব কে দেবে। এজন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ার মার্কেট আবার ফিরে আসতে পারে। নইলে এখান থেকে ফিরে আসার কোনো উপায় দেখি না।
অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, শেয়ার বাজার কেন এ রকম হল। অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সুদক্ষ। শেয়ার বাজার নিয়ে চিন্তাও করেন, ওনার একটা গভীর চিন্তা-ভাবনাও আছে। এই মার্কেটে কোথায় কি হচ্ছে এর সম্মুখ ধারণা ওনার আছে। কারণ গুলো আমাদের সবার জানা।
তিনি বলেন, আমরা লিস্টিং দেই না। দেয় সিকিউরিটি এক্সেচেঞ্জ কমিশন। আমরা বার বার ফেরত পাঠাই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন