বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০২০ ও বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন বিলটি উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াসেফ ওসমান।
বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, কাউন্সিল করতে হলে এর সাথে গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলর থাকতে হয়। কিন্তু এই বিলে তার কোন উল্লেখ নেই। জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, এর সাথে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষিত লোকেরাই এই কাউন্সিলে থাকবেন। অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, প্রকৌশল শিক্ষা, প্রতিষ্ঠানসমূহের এবং প্রকৌশল পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাউন্সিল পরিচালিত হবে। পরে কন্ঠভোটে বিলটি উপস্থাপিত হয়।
বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ বিলটি উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ চলাচল এবং দেশের বন্দরে চলাচলকারী নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ উত্থাপিত হয়েছে সংসদে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯২৭ সালের ‘দ্যা লাইট হাউজ এ্যাক্ট, ১৯২৭ রহিত করে আইনটি সময়োপযোগী করে পুণঃপ্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি বাংলা ভাষায় রূপান্তর, সংশোধন ও পরিমার্জন করে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন উপকূরীয় অঞ্চলে বর্তমানে ৩টি বাতিঘর বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া আরও ৪টি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার