স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছে যাতে বিদেশফেরত বা সংক্রমণের ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ নিশ্চিত করা যায়। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদেরও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কতৃক গৃহীত কার্যক্রমও তুলে ধরেন।
কার্যক্রমগুলো হচ্ছে-
করোনা প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন;
বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ করোনা প্রতিরোধে কমিটিকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান;
বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করাসহ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকা/কর্মস্থলে অবস্থান করতে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান।
কাযক্রমসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা প্রদান।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য ব্যবহৃত স্থানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভবনগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করা;
তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ‘ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল’কে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখার জন্য প্রস্তুত রাখা;
সিটি কর্পোরেশন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় লিকুইড/ হাতধোয়া সাবান এবং হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশনা প্রদান;
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক প্রচারণা (মাইকিং ও লিফলেট) এবং মাস্ক বিতরণ করা;
যে কোন প্রকার জনসমাগম রোধকল্পে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি কার্যক্রম নিশ্চিত করা;
সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সম্প্রতি বিদেশ ফেরত কোন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জনসম্মুখে না আসার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রচারণা চালানো। অবাধ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
করোনা প্রতিরোধে এবং যে কোন প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা;
সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র/হাসপাতালগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখা;
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীনস্থ দফতর, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করা এবং সকল নির্দেশনা ও বিজ্ঞপ্তি যথাযথ অনুসরণ করা।
ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ও তাদের প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মতামত ও পরামর্শ অনুসরণ করা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত