সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘোষিত ছুটিতে যারা শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন ও বাসা থেকে বের হচ্ছেন তাদের সর্তক বলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, এই ছুটি উৎসব করার জন্য নয়, এ ছুটি বাসায় থাকার জন্য দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্কার করতে বলতে চাই, এই ছুটি ভোগ করার মানে হচ্ছে- ছুটি উৎসব করার জন্য নয়, করোনা প্রতিরোধ করার জন্য। এটি কোন ছুটি উৎসব ভোগের জন্য দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের মূলমন্ত্র যার যার ঘরে থাকুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন। তার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
'সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এর মানে হচ্ছে এই ছুটির মধ্যে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই বাসায় থাকবেন।'
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটি চলাকালে বাসায় থাকবেন। একইভাবে বেসরকারি সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও একইভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
‘অতীব প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই ঘরের বাইরে যাবেন না। অতীব জরুরি প্রয়োজনে যদি যেতে হয় – তাহলে স্যানিটাইজেশন ও সকল প্রকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই যাবেন। অনুগ্রহপূর্বক এই নির্দেশনা মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।’
যার যার ঘরে থাকুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন।’ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা বিশ্বের মতো সরকার এই নীতি অনুসরণ করছে বলেও জানান তিনি।
সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেন, বাস, লঞ্চ বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, যে জায়গায় আছেন আপনারা স্থান ত্যাগ করবেন না। যারা গেছেন তাদের অনুরোধ করবো যারা ইতোমধ্যে চলে গেছেন তাদের অনুরোধ করবো ঘরের বাইরে যাবেন না।
সারা বিশ্বব্যাপী মূলমন্ত্র- ঘরে থাকুন, ঘরে থাকার ব্যত্যয় ঘটলে আপনি নিজেকে যেভাবে শঙ্কাযুক্ত করছেন, লাখ লাখ মানুষকে শঙ্কায় ফেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটি এখন আমাদের জাতীয়ভাবে সকলে এক সঙ্গে মোকাবেলার সময় এসেছে। আমরা সবাই এক যোগে সেটি মোকাবেলা করবো। আপনারা দয়া করে এর ব্যত্যয় ঘটাবেন না। এসময় তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আছে তাদের জন্য ওএমএস চালু আছে। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে নগদ টাকা এবং খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয় আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দেয়া হবে। যখনই কোন প্রয়োজন হবে সরকারের লোকজন বাড়ি বাড়ি যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত