প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় বাংলাদেশে কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে এ এপ্রিল মাসটা নিয়ে চিন্তায় আছি। এ দুর্যোগে যারা দুর্নীতি করবেন তাদের এতটুকু ছাড় দেওয়া হবে না। নয়-ছয় করার চেষ্টা করবেন না। সম্পদ লুকানো যায় না। মানুষের এ দুর্ভোগের সময় দুর্নীতি করার চেষ্টা করলে আমরা ধরে ফেলবো। এটা স্পষ্টভাবে মাথায় রাখবেন।
আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা রোগীরা অস্পৃশ্য নয়। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আর কেউ করোনার উপসর্গ লুকাবেন না। এটা কোনো লজ্জার বিষয় না। অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসা নিন, দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। লজ্জা পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনার প্রভাবে বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আপনারা এতটুকু জমি অনাবাদি রাখবেন না। কিছু না কিছু উৎপাদন করেন।
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, মাঠকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শুরু থেকেই করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন, আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে তালিকা করা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে আমি অর্থসচিবের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। আর যেসব ডাক্তার রোগী রেখে পালিয়ে গেছেন তারা যদি এখন শর্ত দিয়ে কাজে ফিরতে চান তাদের সেবা দরকার নেই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে ডাক্তার-নার্স নিয়ে আসবো। রোগীকে সেবা না দেওয়ার এ দুর্বল মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে চলেন তাদের দায়িত্বে রাখা উচিত কী না সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। এরকম দুর্বল মানসিকতা থাকবে কেন?
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা