২৯ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৪১

নদী খননে হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদী খননে হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

ফাইল ছবি

নদী ড্রেজিংয়ের নামে নদীর তলদেশ থেকে বালু অপসারণ করে আবার নদীতেই ফেলায় ড্রেজিংয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। নদীতে বালু ভরাট হয়ে চর জেগে ওঠায় আরিচা, গোয়ালন্দ ও মাওয়া ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দাবি করছে তারা ড্রেজিং করেছে। 
 
বিষয়টিকে শুভংকরের ফাঁকি উল্লেখ করে নদী খননের বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিটি।
 
এসময় হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রতিবছর নদী খনন করা হলেও সেই সব কাজ দৃশ্যমান নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।
 
পাশাপাশি আর নদী দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদসহ নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে নৌ টার্মিনালে প্রবেশে টিকিটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করে কমিটি।
 
সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি’র দশম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
 
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, নদী ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে বলেছে সংসদীয় কমিটি। নদী খনন করে বালু নদীতেই রাখা হয়। এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। তাই কমিটির সদস্যরা বলেছে, নদী খননের পর সরকারি জমি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে বালু রাখা হোক।
 
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে নদী ভাঙনরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও ভাঙন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে নৌপথ সচল রাখতে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ড্রেজিংকৃত পলিমাটি ও বালি পুনরায় নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার এবং নদী ভাঙনরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও ভাঙন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
 
বৈঠকে নৌপথ সচল রাখতে বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং কার্যক্রম, নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিলকরণে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
 
এছাড়া, নদী দখল ও দূষণরোধে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ ও দখলমুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
 
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর