বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট, ডলারের অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রফতানিখাত পোশাক শিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিল্পবান্ধব নীতি সহায়তা আদায়ে এবং রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করবে সম্মিলিত পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনী জোট সম্মিলিত পরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম।
প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিযোগিতার এই সময়ে প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও গভীর বোঝাপড়ার। আমরা বিজিএমইএকে এমন এক আধুনিক ও সেবা-কেন্দ্রিক সংগঠনে রূপ দিতে চাই, যেখানে সদস্যদের প্রয়োজনই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। আমরা ‘সম্মিলিত পরিষদ’ থেকে সরকারের নিকট থেকে শিল্পবান্ধব নীতি সহায়তা আদায় এবং রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করবো। এজন্য পরীক্ষিত, অভিজ্ঞ, দ্বিতীয় প্রজন্মের শিক্ষিত ও পেশাদার উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ মে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে উঠে আসবে, বিজিএমইএ’র ডিজিটাল রূপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার) ব্যবহার বাড়ানো, মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অতীতে যেভাবে সংকটে বিজিএমইএ-কে নেতৃত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এই সংগঠন কেবল পোশাক রফতানিকারকদের নয় এটি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই এর নেতৃত্বে দায়িত্ববান, পরীক্ষিত ও কার্যকর লোকের প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের নেতারা বলেন, ‘আমরা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব দায়িত্বশীলভাবে সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরবো। বিজিএমইএ নির্বাচনে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন, সেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শোভন ইসলাম তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “এই নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ নয়, বরং এটি এমন এক সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা বিজিএমইএ-কে নতুন যুগে প্রবেশ করাতে পারি।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত