২৮ মে, ২০২১ ১৬:০১

তরুণীকে নির্যাতন করা টিকটকার হৃদয় যেভাবে গ্রেফতার হলেন

অনলাইন ডেস্ক

তরুণীকে নির্যাতন করা টিকটকার হৃদয় যেভাবে গ্রেফতার হলেন

রিফাতুল ইসলাম হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়

ভারতে ভাইরাল হওয়া বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন রিফাতুল ইসলাম হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়, শেখ মোহাম্মদ বাবা, সাগর ও অখিল। গ্রেফতার দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। 

বাংলাদেশে ভিডিওটি ছড়াতেই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের পরিচয় নিয়ে সোশ্যাল সাইটে লেখালেখি শুরু হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার সেল তদন্তে নামে। হাতে আসে ওই ছয়জনের একজন টিকটক হৃদয়ের বিবরণ। সেই সূত্র ধরে ভারত সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। 

বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক প্রেস নোটে জানায়, ভিডিও ক্লিপস দেখে ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে দ্রুত শনাক্ত করে, আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ ও আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই বাংলাদেশি।

দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চক্রটি ওই তরুণীকে নির্যাতনের সময় ভিডিও ধারণ করে। পরে তা আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই নর্থ ইস্ট পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

অভিযুক্তদের তথ্য পেতে আসাম পুলিশ তাদের ছবিও আপ করে টুইটারে। এরই একপর্যায়ে বেঙ্গালুরুর একটি সেল ফোন থেকে ভিডিওটি ছড়ানোর বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশকে সতর্ক করা হয় এবং একটি বিশেষ দল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের শনাক্ত করে। তাদের গ্রেফতার করা হয় একটি ভাড়া বাসা থেকে।

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ জানান, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশেরই রিফাতুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক জড়িত বলে সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েকদিন ধরে ভারতে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-২২ বছরের একজন তরুণীকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ জন যুবক শারীরিক ও বিকৃতভাবে যৌন নির্যাতন করছে। ভিডিওটির একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ছেলের ছবি মিলে যায়। এরপরই এ বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি।

তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায়, নির্যাতনকারী ওই যুবকের নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। তিনি রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করা হয়। এলাকায় সে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত। টিকটকে অভিনয়ের লোভ দেখিয়ে সেই তরুণীকে ভারতে নিয়ে যান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর