গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ‘গুরুতর’। আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল, কখন কি হয় বলা যায় না, আমরা কেউ জানি না।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের কাউন্সিলে বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।
সংগঠনটির কাউন্সিল অধিবেশনে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি আর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক এবং অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরীকে নির্বাহী সভাপতি করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। নির্বাচনী কমিটির পক্ষে নতুন কমিটির সদস্যদের নাম পড়ে শোনান অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক।
মোস্তফা মহসিনের সভাপতিত্বে উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম।
কাউন্সিলে উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি তাদের একটি অনুরোধ করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে আমি কোনো কথা বলছি না। আজ তারেকের উচিত-প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ফোন করে বলা, আমাকে পছন্দ করেন আর না করেন, মায়ের জন্য সবাই দোয়া করেন। আপনারা তার জীবনটা বাঁচান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, তারেক আরও একশ’ জন বুদ্ধিজীবীকেও ফোন করে বলবেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমার মায়ের জীবন বাঁচান। আর মির্জা ফখরুলসহ সবাই প্রতিটি পার্টির কাছে যাবেন এবং বলবেন-আসেন, আমরা সবাই ঈদগাহ মাঠে এক ঘণ্টার জন্য সমবেত হই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক আমার বন্ধু ছিলেন। এরশাদ যখন কোনো আইনজীবী পাচ্ছিলেন না, তখন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক তাকে সাহায্য করেছিলেন। তার ছেলে আজকের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই সরকারেরও আরেকটা বিচার হবে। দুর্নীতির মামলার বিচার হবে।
গণফোরামের কাউন্সিল ও নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে পথ দেখাবে। সাফল্য দেখাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন