রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার রাত ৭টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যান।
সংলাপ শেষে বঙ্গভবন গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন। তিনি জানান, তারা ৭টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি স্থায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সৎ নিষ্ঠাবান, নির্দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশও যেনো নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হয়। ধর্মবিদ্বেষী, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পত্তি বৈধকারী, খুনি-সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং ঋণখেলাপীর সঙ্গে যুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে সাথে সাথে সাতে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে মাদকাশক্ত ব্যক্তিদেরও। নির্বাচনে পাশ করার পরও যদি মেডিকেল টেস্টে মাদকদ্রব্য গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সকল দলে তেত্রিশ শতাংশ নারী সদস্য রাখা বাধ্যবাদকতা করা হয়েছে যা অনেক নারীদের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক রাজনীতিতে আসার এক নির্দেশনা যা ইসলামীক দলগুলোর পক্ষে ফুলফিল করা কঠিন। এটা বাধ্যবাধকতা না করে ঐচ্ছিক করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছি।
তিনি বলেন, তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনে রাষ্ট্রপতি বলেছেন দাবিগুলো সুন্দর। বিশেষ করে তিনি নবীণ ও প্রবীণের সম্মিলনে নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের প্রস্তাবটার খুব প্রসংশা করেছেন। এই দলটি সার্চ কমিটির বিষয়ে কারও নাম প্রস্তাব করেনি।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন ও আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন