দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তাই আগের মতো দেশব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে মাঠ প্রশাসন তথা ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কয়েকজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
মৌখিক নির্দেশনা পাওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় মঙ্গলবার জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার ১৫ দফা নির্দেশনাও জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিরুৎসাহ করা হয়েছে। বিধি-নিষেধের বিষয়ে এ সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
এর আগে সোমবার বিকালে করোনা নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্ত মন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়ালি যোগ দেন। জেলা প্রশাসকরা তাদের এলাকার তথ্য জানান।
এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগের মতো করোনা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আজ (মঙ্গলবার) আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নাটোরে মাইকিং করছি।”
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, “আমরা নিজের অফিস থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর কাজ শুরু করেছি। আগে যেভাবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হতো এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল, তা শুরু করেছি। বুধবার থেকে শহরে মাইকিং করা হবে।”
তবে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, তারা ক্যাবিনেটের লিখিত নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। তার জেলায় খুব একটা আক্রান্তও নেই।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, বেনাপোল বন্দরে করোনার স্ক্রিনিং ও টেস্ট চলমান আছে। মাস্ক পরার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরার জন্য জনগণকে সচেতন করার কাজ আবারও শুরু করেছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম