বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপিকে কখনো দুর্বল করা সম্ভব নয়। বিগত চৌদ্দ বছর যাবৎ এই বিএনপির উপর নির্যাতন করা হয়েছে, আমাদের নেত্রীকে একটা বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। কিন্তু চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হয় না। কতটা অমানবিক এই সরকার!
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাজসজ্জা-আলোকচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা উদযাপন কমিটি’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক নূরুদ্দিন আহমেদ নূরু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ অংশ নেন।
ড. মোশাররফ বলেন, যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে- তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বইয়ে লেখা হয়, তাহলে তারা জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু এটা সত্য যে, ইতিহাস ইতিহাসই।
তিনি বলেন, আমাদের একটি মাত্র লক্ষ্য এই সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
সরকার হঠাতে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সকল গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের মধ্যে কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে সরিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সবাই সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে- তখন সেটা ইতিহাস তো হয়ই না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়ার অবদান, সম্মান অবিভাজ্য। এটাকে ভাগ করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত