জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদানের মূল অনুষ্ঠান। প্রথমবারের মতো দেশে সাংবাদিকদের জন্য এত বড় আয়োজনে তৈরি হয়েছে এক আবেগঘন পরিবেশ। ৬৪ জেলা থেকে এসেছেন গুণী সাংবাদিকরা। তাদের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা থেকে আসা গুণী সাংবাদিক মো. সানাউল্লাহ অঝোরে কেঁদে ফেলেন। সবাইকে দেখা যায় আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠতে। অনুষ্ঠানজুড়ে তৈরি হয় ভিন্নরকম এক মুহূর্ত।
জাতীয় সংগীত শেষে মঞ্চে ওঠেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম এবং জুরিবোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলী।
এর মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ঘিরে সাংবাদিকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। কারা পাচ্ছেন বহুল প্রতীক্ষিত এই পুরস্কার-এ নিয়ে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ঢাকার সাংবাদিকরা ছাড়াও মফস্বল থেকে প্রচুর প্রতিবেদন জমা পড়ে। পুরস্কারের পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্তভাবে হয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক মানের জুরিবোর্ড।
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে জুরিবোর্ডে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন, চলচ্চিত্র শিক্ষক গবেষক ও পরামর্শক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, দেশে বিদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া জুলফিকার আলি মাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।