জাতিসংঘের প্রতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তার জন্য কর্মসূচি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক মহাসচিবের বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারের ব্রিফিংয়ের পর তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়৷
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, নিজভূমি থেকে রোহিঙ্গাদের পলায়নে পাঁচ বছর কেটে গেছে। কিন্তু তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি অপূর্ণই রয়ে গেছে। বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গা গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিস্থিতি সৃষ্টিতে আরও এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু আমাদের একক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। জোরপূর্বক বাস্ত্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন যথোপযুক্ত কর্মসূচি। এটাই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত টেকসই সমাধান যা রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মিয়ানমারের সমস্ত লঙ্ঘন ও অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাস্ত্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার সবকিছুই করছে। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ওআইসি) এবং মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার (আইআইএমএম) সব প্রচেষ্টায় পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ন্যয়বিচার নিশ্চিত এবং এই ঘটনার ভবিষ্যত পুনরাবৃত্তি রোধে সকল দেশকে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দেশগুলোকে এ সংক্রান্ত চলমান জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থায় সহযোগিতা প্রদান ও তাদের প্রবেশাধিকার প্রদানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল