২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত ৪০তম বিসিএস পিএসসির দীর্ঘতম বিসিএসের একটি। করোনা পরিস্থিতিজনিত কারণে বার বার স্থগিত হওয়া এই ৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি সুপারিশের পরিবর্তে আগের নিয়মে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নন-ক্যাডার নিয়োগপ্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) সামনে এ মানববন্ধন শুরু হয়। এতে হাজারো নন-ক্যাডার প্রার্থী অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া নন-ক্যাডার প্রার্থী জানান, চলমান বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রক্রিয়া পরবর্তী বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত চলমান ছিল। ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত এ নিয়মেই পিএসসি নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি কমিশন বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার সুপারিশের এ নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এখন থেকে নন-ক্যাডার সুপারিশ করা হবে বিসিএসে বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী। অর্থাৎ, কোনো বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সরাসরি বিসিএস থেকে নিয়োগযোগ্য নন-ক্যাডার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে সংখ্যা উল্লেখপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পিএসসিতে পাঠাতে হবে এবং পিএসসি ওই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে সেই নন-ক্যাডার পদগুলো উল্লেখ করে পরবর্তী সময়ে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারদের সুপারিশ করবে। এর ফলে বর্তমানে নন-ক্যাডারদের জন্য চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে মানববন্ধন করেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা।
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দাবি
১. কমিশন কর্তৃক ৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি সুপারিশের এ বেকারবিরুদ্ধ এবং একই সঙ্গে সরকারের নীতিবিরুদ্ধ অযাচিত সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২. ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের অনুকূলে পিএসসি কর্তৃক প্রদত্ত অধিযাচন পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত সব পদ ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণদের থেকে সুপারিশ করতে হবে।
৩. পূর্বতন বিসিএসগুলো (৩৫তম, ৩৬তম, ৩৭তম, ৩৮তম) থেকে নন-ক্যাডারে সুপারিশকরণের অনুসৃত প্রক্রিয়া ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করতে হবে।
৪. ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশকরণ প্রক্রিয়া পরবর্তী বিসিএসের (৪১তম বিসিএস) চূড়ান্ত ফলাফল প্রদানের পূর্ব তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত রেখে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে সুপারিশ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত