বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপরই নয়, সাধারণ মানুষের উপরও দমননীতি চালাচ্ছে। দেশব্যাপী তারা ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এইভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বেগম সেলিমা রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সেলিমা রহমান বলেন, মানুষের আজ ঘুরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। আমরা বিভাগীয় গণসমাবেশে দেখছি, মানুষ কীভাবে ছুটে আসছে। এখানে আর কোনো কথা থাকতে পারে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। সেই ভোটে যারা জয়ী হবে তারাই প্রতিষ্ঠা করবে জনগণের সরকার।
‘সরকারের লোকেরা লুটপাট করছে’ অভিযোগ করে সেলিমা রহমান বলেন, বিভিন্নভাবে দেশের টাকা মেরে তারা বিদেশে পাচার করছে। এটা আর চলবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বারবার বলছেন আমরা ক্ষমতা চাই না। আমরা চাই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার বলছে সংবিধানের নিয়মে নির্বাচন হবে, এটা কোনো সংবিধান? যে সংবিধান তারা দশবার কাঁটা-ছেঁড়া করে নিজেদের মতো করে বানিয়েছে। দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। এখানে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের জায়গা হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত