লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, দেশে চলছে নিশিরাতের সরকারের বাকশালী কায়দায় একদলীয় শাসন। এখানে মানুষের মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার কোন অধিকার নাই। গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মত প্রকাশেরও অধিকার নাই। ঘরে বাইরে কোথাও নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নাই। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোন লক্ষণও নাই।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কর্নেল অলি বলেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময় ও অর্থনীতির অবস্থা করুন। ২০২২ সালে সমগ্র দেশে ৪৭৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৭০ জন নিহত, ৬৯১৪ জন আহত, ১৯ জন বিচার বর্হিভূত হত্যার শিকার, ৫ জন অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন। সীমান্তে ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থা বজায় থাকলে আমরা আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ প্রবেশ করবো। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে। প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য; একে অপরের দিকে তাকিয়ে না থেকে সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে; এর জন্য প্রধানত দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দায়ী। রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে। আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য নাই। আমদানির কিস্তি ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেগা প্রকল্প গুলি দেশের জন্য অভিশাপ; ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
বাণিজ্য ঘাটতি জুলাই হতে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ৫ মাসে আমদানি ৩ হাজার ২৫৩ কোটি এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪ কোটি ডলারের। রিজার্ভ চুরিতে কারা জড়িত তার হদিস নাই। পেট্রোবাংলা দেনা পরিশোধ করতে পারছে না; এ অবস্থার জন্য কে দায়ী?
কর্নেল অলি আরও বলেন, ছাত্ররা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, নিজের দেশেকে তারা নিরাপদ মনে করছে না। দেশে মেধার মূল্যায়ন না থাকায় তারা দেশে ফিরছেন না। এভাবেই মেধাশূন্য হয়ে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এলডিপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. নূরে আলম,সাধারণ সম্পাদক এড. নিলু গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদসহ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত