যারা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ফায়ার ব্রিগেডে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার গণভবনে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারি ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলব দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার- প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কথা নেই বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় কত মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে, তাদের সত্যিই যে কষ্টটা, তাদের কান্না, এটা সহ্য করা যায় না। এরই মধ্যে আমি বলে দিয়েছি তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করব এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়।
তিনি বলেন, সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। তাহলে আজ এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক