বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এবারের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আদায়ের সংগ্রামে হবে ‘স্মরণীয় জয়’। তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন হবে আওয়ামী অধীনতা থেকে মুক্তির আন্দোলন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবির আন্দোলনে দেশবাসী আজ ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ। এবারের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আদায়ের সংগ্রামে হবে ‘স্মরণীয় জয়’।
আজ নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ঈদের প্রাক্কালে মানুষ ঘরমুখি হলেও নিজ জেলা বা গ্রামে তারা নিরাপদ ছিলোনা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এদের নানা সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে জনপদের পর জনপদ গঠিত রক্তাক্ত সন্ত্রাসের পরিকাঠামো এক আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছিলো। মানুষ বাড়িতে ফিরেও স্বস্তিতে ছিলো না। সমাজ, সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ আজ বিপন্ন।
বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ক্ষমতার আশ্রয়প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা দানবদের আক্রমণে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। বিশেষ করে এই সমাজে নারীদের জীবনের যেন কোন মূল্যই নেই। এমনই এক দুঃসময় চলছে যখন বোনকে উত্যক্ত করার কারণে বিচার চাইতে গিয়ে তরুণ খুন হয়। পিতা-মাতা নিজের মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের কবলে পরে জীবন হারায়। প্রতিনিয়ত নিজের বোন বা কন্যা সন্তানের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে নাজেহালসহ জীবন দিতে হয়। সর্বত্র মানবাধিকার আজ বিপন্ন।
রিজভী আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শুধু বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করা, সহিংস আক্রমণ চালানো, বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও স্বাধীন মতপ্রকাশকারীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই আজ সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিং, কেন্দ্রীয় যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ