সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন, তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ নম্বর আর্টিকেলের খ-তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে এরপর সে-সময় থেকে ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না।
শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন। ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ আহ্বান নিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আজ হুমকির সম্মুখীন। সমস্ত বিরোধী জলে-স্থলে অন্তরীক্ষে আজ নৌকা বানিয়েছে। মাদারীপুরে নিজেদের প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। আর শান্তিপূর্ণ বিরোধিতাকারীদের ওপর তারা পরিকল্পিত নাশকতার দায় চাপাচ্ছে।
সমাবেশে ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, দেশ একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে তা সামাল দিতে পারবেন না, সেটা জানেন তারা। এরই মধ্যে লোপাটকৃত ৯২ হাজার কোটি টাকার গরমিল সামনে এসেছে।
নেতারা এই নির্বাচন স্থগিত করে, তফসিল বাতিল করে এবং সমস্ত আন্দোলনকারী শক্তির সাথে বসে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে নেতারা আরও বলেন, আজকে গোটা জাতির মধ্যে বিষবাষ্প যারা ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জয়লাভ করবই। নির্বাচনের নামে খেলা, ভোটের খেলা যেটাই খেলছে সরকার। টিকবে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী। সমাবেশ পরিচালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সদস্য সাইফুল্লাহ হায়দার।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি-র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত