২৬ মে, ২০২৪ ১৫:৫২

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল সাগর

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল সাগর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। আজ সকাল থেকে কখনও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আবার কখনও আকাশ গুমোট ভাব ধরে আছে।  

সৈকতে নিয়োজিত বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সাগরে নামতে সতর্কতা জারি করে মাইকিং করেছেন। সৈকতে পর্যটকদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে।  

অপরদিকে জেলার উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হলেও দুপুর পর্যন্ত লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলে নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।  

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় উপকূলের প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় উল্লেখ করা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূল এলাকাসহ জেলায় সিপিপিসহ প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর