ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ছয় কর্মকর্তার জামিন বাতিলের বিষয়ে ফৌজদারি রিভিশন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার। একইসঙ্গে মামলার ঘটনার বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে রিভিশনকারীর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মুনসুর রিপন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার সিএমএম আদালত আসামিদের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন বহাল রাখে। এর ফলে মামলার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি। ফলে সত্য উদঘাটন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই হাকিম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে রিভিশন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলা দুটির বাদী ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হকের পক্ষে দুটি রিভিশন আবেদন ফাইল করা হয়েছে।
মামলার অন্য অসামিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জামিন বাতিল করে পৃথক দুই মামলার একটিতে সাত দিন ও আরেকটিতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত ২৯ মে সিএমএম কোর্টে পৃথ দুটি আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
শাযরেহ হকের আইনজীবীরা জানান, সিএমএম আদালতের ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন ফাইল করে সিএমএম কোর্টের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়েছে, এবং তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জামিন বাতিল করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে এই মামলাগুলো গুলশান থানায় দায়ের করেন লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক। এরপর এই মামলার কয়েক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তারা জামিন পান। আর বিদেশ থেকে সিমিন রহমান দেশে আসার পর আদালত আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ